Header Ads

নিয়োগের দাবিতে ২৮ শে বৃহত্তর আন্দোলন চাকরী প্রার্থীদের।

নজরবন্দি ব্যুরো: তৃণমূল সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে WBPSC-র ক্ষমতা খর্ব করে WBSSC-র নামে নতুন একটি সংস্থা তৈরি করে। ওই নতুন সংস্থার হাতে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার দায়িত্ব তুলে দেয় রাজ্য সরকার।
কিন্তু কিছু মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী ওই নতুন সংস্থার হাতে থেকে দায়িত্ব কেড়ে আবার WBPSC-র হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেন। আর এখান থেকে শুরু হয় বিতর্ক। যে সমস্ত চাকরী প্রার্থীরা WBSSC-র নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষাতে পাশ করেছেন কিন্তু এখনও দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষাতে বসার সুযোগ পাননি বা নিয়োগপত্র পাননি তাদের নিয়োগের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী তুলেদেন WBPSC-র হাতে।

কিন্তু কবে তাদের রেজাল্ট প্রকাশ করবে বা নিয়োগ পত্র কবে পাবেন সেই নিয়ে চাকরী প্রার্থীরা WBPSC-র অফিসে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর মেলেনি আধিকারিকদের কাছে থেকে। বিতর্ক চরমে পৌঁছায় এক সপ্তাহ আগে। WBPSC-র অফিস থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়, “আগে WBSSC-র খাতা দেখাতে বিস্তর সমস্যা আছে। আবার খাতা গুলো পুনরায় দেখতে হবে। তাই এখন বলা যাচ্ছে না কবে রেজাল্ট প্রকাশিত হবে” এর পরেই চটে যায় চাকরী প্রার্থীরা। তারা বাধ্য হয়েই ২৮ শে মার্চ WBPSC-র অফিস অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চাকরী প্রার্থীদের দাবি সমূহ:-
১। অবিলম্বে WBPSC ও WBSSC-র সমস্ত অসম্পূর্ণ নিয়োগ সম্পূর্ণ করতেই হবে।
২। LDC, KPS ,MVI এর সম্পূর্ণ মেধাতালিকা অবিলম্বে প্রাপ্ত নাম্বারসহ প্রকাশ করতে হবে।
৩। কাট অফ মার্কস জানাতে হবে।
৪। প্রতিটি নিয়োগের শূন্য পদ প্রথম মেধাতালিকায় পূরণ না হলে, অতিরিক্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৫। সব নিয়োগ ১ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ করতেই হবে।
৬। প্রত্যেক পরীক্ষার উত্তর পত্র অবশ্যই দেখাতে হবে।
৭। নিয়োগের ক্ষেত্রে RTI-এর সুবিধা প্রদান করতে হবে।
৮। সকল নিয়োগের মেধাতালিকার সাথে নাম্বারের কাট অফ মার্কস প্রকাশ করতেই হবে।
৯। চাকরী প্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় তাই যথাযথভাবে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
১০। চাকুরী প্রার্থীদের বঞ্চনার শিকার না করে প্রতিটা নিয়োগ স্বচ্ছতার সাথে করা বাধ্যতামূলক।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.