Header Ads

২২-এর ডিএ মিটিং, হবু শিক্ষকদের মন জয়! পঞ্চায়েতে ঝোড়ো ইনিংস খেলতে প্রস্তুত শাসক দল!

নজরবন্দি ব্যুরো: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যে ডিএ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এর পাশাপাশি, সপ্তম বেতন কমিশন চালু করেছে মোদী সরকার। এর ফলে কেন্দ্রের সঙ্গে ক্রমশ ফারাক বাড়ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। ডিএ বৃদ্ধিতে বকেয়া বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশ।
উপরদিকে, এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন অনেক দূরে। এত কিছুর পরেও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টই জমা পড়েনি। ফলে, তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়ছেই। এই অবস্থায় রাজ্যের উপর আরও চাপ বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, এবার চাপ দিতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন।

কারণ তাদের উপরেই বাড়ছে সদস্যদের চাপ। রাজ্য সরকার আর্থিক চাপে রয়েছে, বাম আমলের ঋণের বোঝার গল্প এতদিন শাসক দলের নেতা-নেত্রী যেভাবে বলে এসেছিল তা আর মানতে চাইছেন না ফেডারেশনের সদস্যরা। আর তাই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আগামী ২২ মার্চ কেন্দ্রীয় বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সংগঠন ডিএ ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের দাবি নিয়ে বৈঠকে বসবে।




যেভাবে গোটা দেশ সহ এই রাজ্যে গেরুয়া ঝড় উঠেছে তাতে আতঙ্কিত গোটা তৃণমূল। নিয়োগ ও ডিএ নিয়ে ক্ষোভ জামা আছে এই রাজ্যের চাকরি প্রার্থী ও চাকুরী জীবী মানুষদের মধ্যে। আর সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বিজেপি যাতে ওই বিক্ষুব্ধ অংশকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে প্রভাব না ফেলতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে তৃণমূল সুপ্রিমো।

আর সেই কথা মাথায় রেখে গত কাল ক্লাস নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ তথা রাজ্য সরকার। এবার যদি ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিবাচক কিছু সিদ্ধান্ত নেন তাহলে পঞ্চায়েত যুদ্ধে নামবার আগেই কিছুটা এগিয়ে থেকে শুরু করতে পারবে রাজ্যের শাসক দল। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। বিশেষ সূত্রের খবর সম্ভবত সেই রাস্তাতে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর তাই রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা এখন তাকিয়ে আছে ২২ শে মার্চ ওই বৈঠকের দিকে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.