শিক্ষক নিয়োগের আশা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে রাজ্যে!! কেন? বিশেষ প্রতিবেদন।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সমস্যায় জর্জরিত। একাধিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে মামলার জটে, আর সেই কারণেই নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সরকার। আবার আদালত নিয়োগ করতে বললেও সেই আদেশ অমান্য করে নিয়োগে অনীহা দেখাচ্ছে সরকার। ২০০৯ সালের মালদা ও দুই ২৪ পরগণার প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ করার আদৌ যে ইচ্ছে নেই সরকারের তা বোঝা গেছে মালদা ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশিস কুন্ডুর কথায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইশারাতেই আটকে রয়েছে নিয়োগ, বলেন আশিস বাবু।
কেন এই পরিস্থিতি? আন্দোলন, অনশন মঞ্চ এসবের পরেও কেন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না চাকরি প্রার্থীরা? এর জন্যে দায়ী শুধুমাত্র সরকার নয়, দায় বর্তায় চাকরি প্রার্থীদের নিজেদের ওপরেও। হবু শিক্ষকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা, অনৈক্য এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষ্য পূরণে প্রধান অন্তরায়, যার পুরোমাত্রায় সুযোগ নিচ্ছে শাসক দল, মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
মালদার চাকরি প্রার্থীরা টানা ২৪ দিন অনশন চালানোর পর সেই অনশন তুলে নিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের অনুরোধে। তবে এই অনশন তুলে নেওয়ার মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে।
অনশনকারীদের একটা বড় অংশের এই অনশন তুলে নেওয়ার পক্ষে মত ছিল না। এখানেই তৈরি হচ্ছে বিভেদ, যা লক্ষ্যে পৌঁছনোর বাঁধা। রাজ্য জুড়ে অসংখ্য চাকরি প্রার্থী রয়েছেন যারা দিনের পর দিন বঞ্চিত। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক পদপ্রার্থীরা যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলনে নামেন তাহলে লড়াই আরও বেশি সংঘবদ্ধ হয়। যার ফলে শাসকের বুকেও কম্পন শুরু হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে বৃহৎ সংঘবদ্ধ আন্দোলনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। ফলে রাজ্য জুড়ে ভোটের দামামা বেজে গেলেও বঞ্চনার ঝুলি ভর্তিই থেকে গেল চাকরি প্রার্থীদের। ভবিষ্যতেও এই অন্তরায়কে অতিক্রম করতে না পারলে সমস্যা সমাধানের রাস্তা থেকে বহুদূরেই থেকে যাবেন তারা, বলছেন খোদ শিক্ষক প্রার্থীরাই।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই