Header Ads

বকেয়া ডিএ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু নবান্নে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হতে পারে সমাধান? Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বকেয়া ডিএ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন এই রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে একাধিক সরকারী কর্মচারীদের ইউনিয়ন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অন্যদিকে হাইকোর্টে চলছে মামাল। কিন্তু দিনের পর দিন চলে গেলেও আসেনি কোন সমাধান সূত্র। সওয়াল জবাব আর তারিখের পর তারিখ। বর্তমানে অচলবস্থা চললেও হাইকোর্টে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল আশা জাগিয়েছে কিছুটা।
উল্লেখ্য ডিএ প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন সিপিআই(এম) বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ে মুকুল রায়।

রাজ্য সরকার এবং ডিএ নিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, রাজ্যসরকারী কর্মচারীরা চূড়ান্ত ভাবে বঞ্চিত। রাজ্যসরকারের প্রতিনিধি আদালতে যে দাবি করছে আর ডিএ বাকি নেই তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এই রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা অন্যতম ভাবে বঞ্চিত হয় তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে এই রাজ্যের কর্মচারীরা যাতে ডিএ পায় সেই বিষয় যেন মহামান্য আদালত গুরুত্বের সাথে দেখেন। এর পরে তিনি অভিযোগ করেন সরকারী অইনজীবীরা ডিএ দেওয়া নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আর এই মিথ্যা তথ্য দেবার জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর পরে তিনি আরো বলেন যে সরকার তাদের কর্মচারীদের বঞ্চিত করে, সেই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।




সুজন বাবু এই ডিএ প্রসঙ্গে বলেন, বকেয়া ডি এর পরিমাণ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকার তার কর্মচারীদের সেই প্রাপ্য অর্থ বুঝিয়ে না দিয়ে মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে রাজ্যের কোষাগার ফাঁকা করছে। তিনি অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য বকেয়া ডিএ পান সেই বিষটি যেই রাজ্য সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, এক সময়ের দক্ষ সংগঠক মুকুল রায় ছাড়া এই প্রথম কোন এক বড় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে তৃণমূল।

এর উপর ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা রাজ্য সরকারের উপর অসন্তুষ্ট। এই অবস্থায় সূত্র জানাচ্ছে ডিএ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে রাজ্য সরকারও। সূত্র জানাচ্ছে কয়েকদিন আগে নবান্নে এক বৈঠকে আলোচনা হয় ডিএ নিয়ে। অসমর্থিত সূত্র জানাচ্ছে সেখানে আলোচনা হয় যদি কোনভাবে ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সরকারের বিপক্ষে যায় তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সামান্য কিছু ডিএ ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার। তবে ঘোষণা করা হলেও তা হাতে পেতে সময় লাগবে অন্তত ৩ মাস।

রাজকোষের অবস্থা এমন যে রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হলে সরকার চালানো মুশকিল হয়ে যাবে।
তবে কি হবে তা নিয়ে নিশ্চিত নন কোন পক্ষই সবটাই নির্ভর করছে আদালতের রায়ের উপর। রায় যদি কর্মচারীদের পক্ষেও যায় কত পার্সেন্ট ডিএ জুটবে কপালে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.