হয় নিয়োগপত্র, নাহয় মৃত্যু! আমরণ অনশনে শিক্ষক পদপ্রার্থীরা! এরপরেও চুপ থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী? #EXCLUSIVE
প্রসঙ্গত ২০০৯ সালে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার নিয়োগের পরীক্ষা হয় ও তারপর বাকি সব জেলা গুলিতে নিয়োগ হয়ে গেলেও নিয়োগ পাননি মালদা, দুই ২৪ পরগণা ও হাওড়ার প্রার্থীরা। এরপর ২০১২ সালে ব্যাপক অস্বচ্ছতার অভিযোগে রাজ্য সরকার সেই পরীক্ষা বাতিল করে। কিছু পরীক্ষার্থীর মামলার জেরে ২০১৪ সালে হাওড়া জেলার চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা ও নিয়োগ করে। ২০১৪ সালে মালদা জেলায় ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ১১ জুন লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ইন্টারভিউ শেষ হয়ে সেই প্যানেল পর্ষদে অনুমোদিত হয়। কিন্তু মালদা ও দুই পরগণার নিয়োগ এখনও হয়নি।
গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এর বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জী সিঙ্গল বেঞ্চ ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশ মানেননি মালদা জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশিস কুন্ডু তথা রাজ্যের সরকার। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে হতাশ মালদার হবু শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসার কথা ঘোষনা করলেন।
আগামি ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মালদার বৃন্দাবন ময়দানের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশনে বসছেন তারা। চাকরি প্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, বারবার আবেদন, বিক্ষোভ, মামলা কোনো কিছুতেই টনক নড়েনি এই রাজ্যের সরকারের। তাই এবার হয় চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পাবেন, নয়তো মৃত্যুকে বরণ করে নেবেন, ঘোষনা অসংখ্য অসহায় চাকরি প্রার্থীর।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই