Header Ads

আপার প্রাইমারি, নবম-দশম এর ফলপ্রকাশ নিয়ে কি ভাবছে রাজ্য সরকার?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে অব্যাহত শিক্ষক নিয়োগ সমস্যা। নিয়োগপত্রের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন মালদা জেলার ২০০৯-এর প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। কয়েকদিন আগেই অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরি হারাতে বসা কম্পিউটার শিক্ষকরা। একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গিয়ে আটকে রয়েছে তার ফল প্রকাশ। তার মধ্যে অন্যতম উচ্চ প্রাথমিক ও নবম-দশম এর রেজাল্ট।
চাকরির পরীক্ষা দিয়ে তার ফলের আশায় বসে রয়েছেন অসংখ্য চাকরি প্রার্থী। কিন্তু কবে হবে সেই ফল প্রকাশ? জানেন না কেউই। উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম-দশমের রেজাল্ট কবে বের হবে তা জানতে চেয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ফোন আসে নজরবন্দির দপ্তরে। চূড়ান্ত উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে চাকরি প্রার্থীদের। অথচ ভ্রুক্ষেপ নেই রাজ্যের সরকারের।





এখনো পর্যন্ত কমিশনের তরফে এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ফল প্রকাশে এতো দেরি হচ্ছে তা নিয়েও খোলসা করে কিছু বলা হচ্ছে না। কিন্তু কেন এরকম করা হচ্ছে? ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার যদি কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে কিংবা কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেই সমস্যাটি কি, তা পরিষ্কার করে জানাচ্ছে না কেন কমিশন? সরকারই বা কেন গোটা বিষয়টাতে মুখে কুলুপ এঁটেছে? এক দায়িত্বশীল সরকারের ন্যূনতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না কি এই বিষয়টি? একাধিক প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক পদের দাবিদারেরা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিগত বছর গুলিতে লক্ষ লক্ষ বেকারকে চাকরি দিয়েছে তাঁর সরকার। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, প্রতি বছর যদি লক্ষাধিক বেকারের চাকরি হয় তাহলে কেন এতো অনশন মঞ্চ, এতো বিক্ষোভ, এত বেকার যুবক যুবতীর কাতর আর্তি কেন শোনা যায় এই রাজ্যে? সুদিন দেখবেন এই আশায় ব্যাপক ভোটের ভরা জোয়ারে তৃণমূলকে ভাসিয়ে পালাবদল ঘটিয়েছিলেন যেই রাজ্যবাসী তাদের প্রতি কেন এই উদাসীনতা সরকারের? জবাব চাইছেন এই রাজ্যের হাজার হাজার চাকরি প্রার্থী।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.