Header Ads

গৌরি লঙ্কেশরা বেঁচে থাকেন চিরকাল! 'গৌরি দিবস' প্রমাণ করে বারবার সেই কথা!

সুদীপ বল, নজরবন্দি: তিন মাস কেটে গেল মারা গেছেন যুক্তিবাদী এবং প্রতিবাদী সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশ। যদিও কথাটা ভীষনভাবে ভুল। কারণ তাঁকে খুন করা হয়েছে। এখনো অধরা তাঁর খুনিরা। তবু আজকের দিনে এসে খুব বেশি করে মনে হয়, 'গৌরি লঙ্কেশ'রা কখনো মরেন না। তাঁরা বেঁচে থাকেন মানুষের শ্রদ্ধায়, মানুষের ভালোবাসায়। আগামিকাল তাঁর জন্মদিন। প্রয়াত সাংবাদিকের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে কর্নাটক জুড়ে পালিত হতে চলেছে "গৌরি দিবস"।
গৌরি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর উদ্যোগে আগামিকাল বেঙ্গালুরুর টাউন হলে পালিত হতে চলেছে 'গৌরি দিবস'। দেশের অসংখ্য লড়াকু নেতারা উপস্থিত থেকে সম্মান জ্ঞাপন করে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবেন। কালকের সভায় উপস্থিত নেতৃত্বের তালিকাটা অনেকটাই লম্বা। কে নেই সেখান! গুজরাটের দলিত নেতা ও বিধায়ক জীগনেস মেওয়ানী, দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই-এর বিতর্কিত নেতা কানহাইয়া কুমার, সেহলা রসিদ, ওমর খালিদের মত ছাত্র নেতা, লড়াকু স্টুডেন্ট নেত্রী রিচা সিং, তিস্তা শিতলবাদ, অভিনেতা প্রকাশ রাই, কর্নাটকের প্রথিত যশা গায়িকা আরতী সহ আরও অনেকে। ভাষন দেবেন হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মঘাতী ছাত্র রোহীত ভিমুলা-র মা রাধিকা ভেমুলা। কবিতা, গান, গৌরি লঙ্কেশের লেখা পাঠ করে দিনটিকে এক অন্য মাত্রা দিতে চান তারা।

কর্নাটকের প্রথিত যশা গায়কী আরতী, পুনের কবির কলা মঞ্চের শিল্পি শিতল। বিখ্যাত মিউজিসিয়ান টি এম কৃষনা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কবিতা, ক্লাসিক্যাল গান ও গৌরী লংকেশের লেখা বই ও তার প্রকাশিত পত্রিকা থেকে তার লেখা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে গৌরী দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে চান বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তারা। পৃথিবী থেকে যাতে কখনো প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে না যায় সেই কারণে প্রয়াত সাংবাদিকের নামে ই-পত্রিকা বের করার সিদ্ধান্ত হয়। এবিষয়ে উদ্যোগ গৃহীত হবে আগামিকাল।

অপরদিকে আগামীকাল কর্নাটক জুড়ে গৌরী দিবস পালনকে কেন্দ্র করে আসন্ন কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের আগে টানটান উত্তেজনার পারদ চড়েছে। চাপানউতোর রাজ্যের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দল থেকে শুরু করে বিরোধী বিজেপি ও বিজেডি দলের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। সে সময় দেশ জুড়ে এই মৃত্যু নিয়ে বিজেপির দিকে অভিযোগের ঝড় উঠলেও তার মৃত্যুর পর তিন মাস হয়ে গেলেও খুনী এখনো অধরা। ইতিমধ্যে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের কাধে সব দায় গিয়ে পড়েছে। খুনি ধরতে না পারার জন্য আঙুল তোলা হচ্ছে কংগ্রেসের ওপর। এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষই আগামীকালের এই অনুষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ভোটব্যাঙ্কে কি আদৌ প্রভাব ফেলবে এই প্রতিবাদী অনুষ্ঠান? বোঝা যাবে আসন্ন ভোটে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.