Header Ads

কাকদ্বীপে দম্পতি খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ! এই ঘটনায় ধৃত ৮




নজরবন্দি ব্যুরো: এবারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাকদ্বীপে সিপি আই(এম) কর্মী দম্পতিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। আর এই ঘটনায় আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে তেলেঙ্গানা থেকে বিদ্যুৎ হালদার নামে এক সিপি আই(এম) কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। তবে এই গ্রেফতারিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ওই এলাকার বাম সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই। তাদের সবার দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আড়াল করতেই এই কুৎসিত খেলায় নেমেছে প্রশাসন।

এবারের পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন রাতে সিপিআই(এম) কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত দেবপ্রসাদ দাস ও ঊষা দাসকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানার অন্তর্গত বুধাখালী গ্রামে। ঘটনায় ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপি আই(এম) এর তরফে অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সবাই তৃণমূল আশ্রিত। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা।
ঘটনার তদন্তে নেমে শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসে পুরো বিষয়টি ধামা চাপা দিতে চায় প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ। এর পরে আবার পুলিশের দাবি, ব্যক্তিগত আকর্ষের কারণেই ওই দম্পতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এছাড়া তদন্তে উঠে আসে, তৃণমূল নয়, সিপি আই(এম) এর গোষ্ঠী-কোন্দলের কারণেই ওই  দম্পতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই রকম একাধিক বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের দাবি উড়িয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপি আই(এম) এর সম্পাদক শমীক লাহিড়ী জানান, ‘‘কাকদ্বীপের দেবু দাস ও ঊষারাণী দাসের হত্যাকারীদের আড়াল করতে চেষ্টা করছে পুলিশ। যারা আসল অভিযুক্ত তাদের গ্রেপ্তারের বদলে, নিরীহ গ্রামবাসীদের পুলিশ আটক করছে।’’ সিপি আই(এম) দাবি করেন অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল না ধৃতদের।

আর এই ঘটনায় আবার একবার পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে সিপি(আই)এম নেতৃত্ব। 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.